বিনোদন বাজার রিপোর্ট
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এফবিসিসিআইর গুলশান কার্যালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তাবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতি তার গতিশীলতা ফিরে পাবে এবং এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে ব্যবসায়ী সমাজ আশান্বিত। এফবিসিসিআই সভাপতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন মর্মে জিওসিকে নিশ্চয়তা দেন।
নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে। এ জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের নিরাপত্তা দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কর্তব্য। তাই কোনো ব্যবসায়ী কিংবা শিল্পপ্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজিসহ হামলার হুমকি পেলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বন্দরের কনটেইনার জট কমানো ও অন্যান্য অনিয়ম-দূরীকরণে সেনাবাহিনী গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান।
এ সময় শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া জানান, শিল্পের সুরক্ষায় এরই মধ্যে অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেছে। শিগগির বাকি সদস্য কাজে যোগদান করবেন। তাছাড়া বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য তিনি সবার আগে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সভায় অংশ নেওয়ায় তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।