বিনোদন বাজার রিপোর্ট
বোলিংটা আশানুরূপ হলো না এবার। ব্যাটাররাও বের হতে পারল না ব্যর্থতার আবর্ত থেকে। অস্ট্রেলিয়া সফরের সমাপ্তিটা তাই মনের মতো হলো না বাংলাদেশ এইচপি দলেরও। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশ এইচপি দলের। ফাইনালে অ্যাডিলেইড স্টাইকার্সের কাছে ৩২ রানে হেরে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ডারউইনের টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় অ্যাডিলেইড। জবাবে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ এইচপি দল।
অ্যাডিলেইডকে উদার হস্তে রান উপহার দিয়েছেন আবু হায়দার রনি। ৪ ওভার বলে ৪৬ রান খরচা করেছেন এই পেসার। তার অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের পাহাড়ে চড়েছে অ্যাডিলেইড।
শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার জ্যাক উইন্টারকে রানআউট করেন আবু হায়দার ও উইকেটরক্ষক আকবর আলী।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে হ্যারি ম্যাথিয়াস ও টম ও’কনেল ৫৯ রানের জুটি করে অ্যাডিলেইডের বিপদ কাটিয়ে তোলেন। ম্যাথিয়াস ১৯ রানে ফিরলেও ফিফটি করে ফেলেন ও’কনেল। আফিফ হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫৩ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ও’কনেল।
রিপন মণ্ডল ও আবু হায়দারের ঢিলে বলে ঝড় তোলেন অধিনায়ক লিয়াম স্কট (১৮ বলে ৩০), রায়ান কিং (১৯ বলে ৩৫) ও স্যাম রাহালি (১৩ বলে ২০)। এতে বড় পুঁজি দাঁড়ায় অ্যাডিলেইডের।
জবাবে বাংলাদেশ এইচপি দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জিশান আলম ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে মোমেন্টাম ধরে খেলতে পারেন জিশান। ১৯ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ফাইনালে কিছুই করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন (৬ বলে ৩)।
ভালো করছিলেন তানজিদ তামিম। তবে দলকে বেশি দূর টেনে নিতে পারেননি এই বাঁহাতি। ২৯ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটেন তানজিদ। আফিফ ফেরেন ১৩ বলে ১৮ করে। ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় বাংলাদেশ এইচপি।
এরপর কিছুটা লড়াই করেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১৯ বলে ২১ রান করেন তিনি। শেষ দিকে রাকিবুল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১২ রান ও রিপন মন্ডল নেন ১৩ বলে ১১ রান। অবশেষে ১ বল বাকি থাকতেই ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ এইচপি।