বিনোদন ডেস্ক
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সম্প্রতি অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভারতীয় গণমাধ্যমে তিনি এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
জন্মদিন মানেই খাওয়া–দাওয়া আর ছোটবেলার স্মৃতি। কোন স্মৃতিটা সব থেকে প্রিয় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জন্মদিনে মা দারুণ সব খাবার রান্না করতেন। পরিবারের সবাই আসতেন, কাজিনরা আসত। আমাদের সবার জন্মদিন মুখস্থ ছিল, হিসাব রাখতাম কোন মাসে কার বাড়িতে যাব।’
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এখন তো সবাই আলাদা শহরে, অনেকে আলাদা দেশে। সেদিন স্কুলে সবাই ইউনিফর্ম পরে যেত। আমার পোশাকটা শুধু আলাদা, রঙিন হতো। বন্ধুদের সবাইকে চকলেট দেওয়াটাও মনে রাখার মতো ঘটনা ছিল। পরবর্তীতে আমার ছেলে–মেয়ের জন্মদিনেও এই নিজের হাতে রান্না করাটা বজায় রেখেছি।’
, ‘নিজেকে আরও একটু তৈরি করতে চাই। প্রতি বছর ভাবি সময়ের ব্যাপারে পারফেক্ট হবো, হয়ে ওঠে না। তবে আমি অনেকটা ঠিক করেছি বিষয়টা। এবার আরও একটু ঠিক করতে হবে। আমি প্রতি বছর অনেক মানুষের উইশ ফুলফিলমেন্টের চেষ্টা করি। এবারও তেমন কিছু করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কারও কোনও উপকার হয় তা হলে সেটা করার চেষ্টা করি।’
ঋতুপর্ণার কথায়, ‘কাজের ক্ষেত্রে নিজের জায়গাটা আরও বেশি পাকাপোক্ত করতে চাই। পরিশ্রম করেই যে স্বপ্নগুলো আছে সেগুলো পূরণ করতে চাই। আমি যদি কোনও মাইন্ডকে ইনফ্লুয়েন্স করে ক্রাইম বা মেয়েদের উপরে হওয়া অ্যাবিউজ কমাতে পারি, তা হলে সেই পদক্ষেপ নিতে চাইব। পরিবারের কাছে আরও ভালো উদাহরণ হয়ে উঠতে চাই। এমন মানুষ হতে চাই যে আমি চলে যাওয়ার পরেও যেন তার রেশটা থেকে যায়।’
তিনি ‘শ্বেত পাথরের থালা’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।