বিনোদন বাজার রিপোর্ট
বইমেলায় প্রকাশিত ‘বুকে নাচে জোড়া ময়ূর’ বইটির নাম অশ্লীল বলে সমালোচনা হচ্ছে, তবে নামটির মধ্যে কোন অশ্লীলতা নেই বলে জানিয়েছেন বইটির লেখিকা মাহফুজা অনন্যা।
এবার অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মাহফুজা অনন্যার ৬ষ্ঠ কবিতার বই “বুকে নাচে জোড়া ময়ূর “। এটি প্রকাশ করেছে শব্দশৈলী।
বিনোদন বাজারকে লেখিকা বলেন, “বুকে নাচে জোড়া ময়ূর ” চোখ বন্ধ করে যারা এ নামটিকে অশ্লীল বলে গসিপে মাতছেন তাদের দুঃখকষ্টে বোধ করি বুকের ভেতর ডান অলিন্দ, বাম অলিন্দ নাচে না! তাদের কখনও আনন্দ বা বেদনাবোধ হয় না, তাদের বুক কখনও দুরুদুরু কাঁপে না!
তিনি যোগ করেন, “চোখের নিপল থেকে ঝরছে রক্তদুধ”…দুঃখের মতো, কান্নার মতো চিরন্তন একটি সত্যকে কয়জন এভাবে প্রকাশ করতে পারে? কাঁদে তো সবাই, ক’জন কান্নাকে বলতে পারে চোখের নিপল থেকে ঝরছে রক্তদুধ?
“গভীর অনুভূতি নেই, বোধ নেই! তাদের চোখে শুধু অশ্লীলতাই পড়ে, দেহতত্ত্বীয় বিষয়গুলো ভাবায় না! চল্লিশ পরবর্তী বয়সে এসে যদি কবিতার ভাষাজ্ঞান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো হয় তাকে আর যাই হোক, কবিতা বলা যায় না! কবিতার ভাষাকে রূপক বা যথেষ্ট উপমার অলংকারে ক’জন সাজাতে পারে?”
লেখিকা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসল কথা হলো ঈর্ষা! টেনে কাউকে নিচে নামাতে হবে। কিন্তু কাউকে টেনে নিচে নামানো যায় না। বরং ঈর্ষাকারীই ধ্বংস হয় যুগেযুগে।
“বুকে নাচে জোড়া ময়ূর” কবিতার বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। বইটিতে মোট ৮৩ টি কবিতা রয়েছে। প্রেম, বিরহ, সমসাময়িক, দেশভাবনা এবং যুদ্ধবিরুদ্ধ কবিতা দিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে। এটি পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলার শব্দশৈলীতে (প্যাভিলিয়ন-০৯)। এখানে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার বিকেল ৪ টা থেকে লেখিকা উপস্থিত থাকবে।
মাহফুজা অনন্যার আগের কবিতার বইগুলো হলো সোনালি অসুখ, কামার্ত নগরের কামিজ, এবং নাভির কান্না, আশি দোররা চুম্বন এবং ত্রিভুজ ফুল শনিবার ফোটে। আগের বইগুলোও ব্যাপক সাড়া ফেলে বোদ্ধা পাঠকের মনে। ২০২৩ সালের বইমেলায় মাহফুজা অনন্যার উপন্যাস “কীর্তনখোলা” প্রকাশিত হয়েছে। কীর্তনখোলা উপন্যাসটিও পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা পায়।