বিনোদন বাজার রিপোর্ট
এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। যেখান থেকে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দানবাক্স থেকে স্বর্ণ, রুপাসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় দিকে জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ টাকার পরিমাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, তিন মাস ২৬ দিন পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। যেখানে জেলা প্রশাসনের ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৩০ জন সেনা সদস্য, ১৫ জন পুলিশ সদস্য ও ৯ জন আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
২৮টি বস্তায় টাকা ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেজেতে ঢেলে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। গণনায় ব্যাংকের ৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী, মাদ্রাসার ২৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যায়।
সর্বশেষ চলতি ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। সে সময় ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি তিনমাস পর পর দান সিন্ধুক খোলা হলেও এবার তিন মাস ২৬দিন পর খোলা হয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দানের সকল অর্থ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।
মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।