বিনোদন বাজআর রিপোর্ট
ক্ষমতার পালাবদলে বদলে গেল বেসরকারি টিভি চ্যানেল সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও। আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোম্পানির পরিচালক শম্পা রহমানকে।
সময় মিডিয়া লিমিটেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, শনিবার গুলশানের ‘সিটি হাউজে’ সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
আহমেদ জোবায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, সময় টেলিভিশনের লাইসেন্স তার নামে। ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক’ ও আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।
সময় টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালে এ বিষয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অবৈধ বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে সময় টেলিভিশনের এমডি ও সিইওকে অপসারণের খবর ছড়াচ্ছে একটি মহল, যা আদৌ সত্য নয়। সময় টেলিভিশনের লাইসেন্স বর্তমান এমডির নামে। সুতরাং তাকে অপসারণ করার সুযোগ নেই।
২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সময় টেলিভিশন পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শেষে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে।
লাইসেন্স নেওয়ার সময় তৎকালীন মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য, এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।
অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ এবং নিয়াজ মোরশেদ ও তুষার আবদুল্লাহর ২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল।
এর পর দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে ৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। তাদের কাছে ৭৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ জোবায়েরের মাধ্যমে মন্ত্রী কামরুলের পরিবারের কাছে থেকে যায়।
পরে তুষার আবদুল্লাহ সময় টিভি ছেড়ে যান।
বিভিন্ন সময় সিটি গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিরা আক্ষেপ করে বলেছেন, তাদের কোম্পানি অধিকাংশ শেয়ার ধারণ করলেও সময় টিভি পরিচালনায় তাদের কথা শোনা হত না, কোনো পরামর্শ নেওয়া হত না।
গত ডিসেম্বরে মারা যাওয়া সিটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে তার ক্ষোভ ও বেদনার কথা বলেছেন।
প্রবল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সময় টেলিভিশনের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এরপর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের প্রবল দাবির মধ্যে সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনল।