বিনোদন বাজার রিপোর্ট
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া ৩০ জুনের মধ্যে ফিটনেস বিহীন সব বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং হেলমেট না থাকলে মোটরসাইকেল চালকদের পেট্রোল সরবরাহও করা হবে না।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭’ -এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আমরা ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করেছি। এখন থেকে ব্যাটারিচালিত কোনো রিকশা বা গাড়ি যেন ঢাকা শহরে না চলে। তবে শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় সড়কে ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি কিভাবে চলাচল করে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তা বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে জানতে চান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ৪৩ বছর বিআরটিএ কি ঘুমিয়ে ছিলো। ঢাকা শহরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। গাড়িগুলো গরীব গরীব চেহারার। ঢাকার চেয়ে গ্রামের গাড়িগুলো ভালো। ৩০ জুনের মধ্যে সব ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।
গত ২২ এপ্রিল মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। পরে জানা গেছে, ওই বাসটি ছিলো ৪৩ বছরের পুরোনো। লক্কড়ঝক্কড় বাসটি রাস্তায় চলছিলো ফিটনেস ছাড়াই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার রাস্তায় পুরোনো ফিটনেসবিহীন বাস ডাম্পিং নয়, ধ্বংস করে দেওয়া হবে। আজ থেকে সারাদেশে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ পদ্ধতি চালুর কথাও জানান তিনি। এছাড়া জরুরি সেবা ছাড়া হুটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।