মন ভাল নেই। তাই ফ্রিজ থেকে মুঠো মুঠো চকোলেট বার করে খেয়ে ফেলেন অনেকে। আবার অনেকেই মধ্যরাতে আইসক্রিম পার্লারে ছোটেন। তাতে যে মন ভাল হয় না, তা নয়। চকোলেট বা আইসক্রিমের মধ্যে থাকা উপাদানগুলি ‘হ্যাপি’ হরমোনের উৎপাদন বা ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু, এই জাতীয় খাবার খেলে শরীরে মেদ বেড়ে যেতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা হলে উপায়?
আসলে শারীরবৃত্তীয় প্রায় সমস্ত কাজের অনেকটাই পরিচালনা করে হরমোন। এই উপাদানগুলির ক্ষরণ বা উৎপাদন— কোনও একটি বেশি হয়ে গেলেই শরীর এবং মনের উপর প্রভাব পড়ে। তাই মনের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। আবেগ, অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ‘ফিল-গুড’ রাসায়নিক বা সেরোটোনিন, ডোপামাইন, অক্সিটোসিন এবং এনডরফিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওষুধ না খেয়ে, স্বাভাবিক ভাবেও এই উপাদানগুলির মাত্রা বৃদ্ধি করা যায়।
১) সেরোটোনিন
দিনের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় রোদে বসলে এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করলে, ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান রয়েছে এমন খাবার, যেমন— বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ খেলেও এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।
২) ডোপামিন
চিকিৎসকেরা বলছেন, গান শুনলে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া টাইরোসিন নামক উপাদানটি রয়েছে এমন খাবার, যেমন— কাঠবাদাম, অ্যাভোকাডো, কলার মতো খাবার প্রতি দিন খেলেও ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।