বিনোদন বাজার রিপোর্ট
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায় কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফ। ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন বলেন, আহত শিক্ষার্থীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। সে এখন শঙ্কামুক্ত।
জানা যায়, ডা.রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার স্বত্তেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন। আজ বিকেলে ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে দেশীয় পিস্তল নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসে প্রবেশ করে শিক্ষক রায়হান শরীফ ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। তার চিৎকারের সবাই এগিয়ে এসে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করে মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।