Sunday, April 13, 2025
spot_img

মতিঝিল বালক বিদ্যালয়ে ২০ মিনিট পর এসএসসির প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ

বিনোদন বাজার রিপোর্ট

রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০ মিনিট দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে ওই শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কেন্দ্রে হট্টগোল শুরু হয়।

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩০০৩ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্রের লিখিত অংশের প্রশ্নপত্র ২০ মিনিট দেরিতে দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পর খাতা কেড়ে নেওয়া হয়। এতে তারা লিখিত পরীক্ষা দিতে ২০ মিনিট কম সময় পেয়েছে। এ ঘটনায় তারা ইলিয়াস হোসেন নামে একজন শিক্ষককে দায়ী করছেন।

জামাল উদ্দিন নামে একজন অভিভাবক বলেন, ৩০০৩ নম্বর কক্ষে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র। প্রথমে তাদের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা হয়। এরপর তাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেলেছে। ও বলছে, বাবা আমাদের এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা নেওয়ার পর দুই স্কুলের উত্তরপত্র গুলিয়ে ফেলেছেন শিক্ষকরা। সেগুলো আলাদা করতে গিয়ে ২০ মিনিট দেরিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিয়েছে। ও সব লিখতে পারেনি।’

আমিরুল ইসলাম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ৪২ জন শিক্ষার্থী ওই কক্ষে ছিল। সবাই কি মিথ্যা বলছে? অথচ অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করছেন। আমরা চাই, যে ৪২ জন দেরিতে প্রশ্নপত্র পেয়েছে, তাদের আবারও ২০ মিনিট পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।

এদিকে, ঘটনাস্থলে হট্টগোল শুরু হলে পুলিশ অভিভাবকদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এসময় অভিভাবকরা পুলিশের সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কেন্দ্রে দায়িত্বরত এসআই নরোত্তম অভিভাবকদের বলেন, প্রতিটি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সিসিটিভি দেখে কেন্দ্রসচিব বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

তবে পুলিশ কর্মকর্তার কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না অভিভাবকরা। তারা ইলিয়াস নামে ওই শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার এবং কেন্দ্রসচিবকে বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়েও সেখানে অভিভাবকরা অবস্থান করছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে কেন্দ্রসচিব ও অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ পর পুরো বিষয়টি জেনে তারা এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।

জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে বা কেন্দ্রসচিব লিখিতভাবে জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisment -spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়