বিনোদন বাজার ডেস্ক
এসে গেছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তার আগে ১২ তারিখ ছিল বিশ্ব হাগ বা আলিঙ্গন দিবস।
ভ্যালেন্টাইনস আগে ১২ ফেব্রুয়ারি ছিল সবার ভালবাসাকে আলিঙ্গন করার দিন। নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ না করে শুধুমাত্র প্রিয়জনকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে নেওয়ার দিন। ১২ ফেব্রুয়ারির এ দিন বিশ্ব আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
আলিঙ্গনকে ভালোবাসার সার্বজনীন ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কখনও কখনও একটা উষ্ণ আলিঙ্গন হাজার শব্দ না বলেই প্রকাশ করতে পারে, যা ভাষায় বোঝানো যায় না। সারাদিন যতই খারাপ কাটুক না কেন, সময় যতই খারাপ হয়ে যাক না কেন, একটু জড়িয়ে ধরলেই সমস্ত দুঃখ-কষ্ট একেবারেই দূর হয়ে যায়। ক্লান্তিমাখা দিনের শেষে ভালোবাসার একটা আলিঙ্গন মিঠে বাতাসের মতো।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, আলিঙ্গন স্ট্রেস হরমোন কমাতে পারে এবং যে দম্পতি সবচেয়ে বেশি আলিঙ্গন করে তারা জীবনে সবচেয়ে সুখী হয়ে থাকে।
শুধু ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রেই নয়; পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গেই আলিঙ্গন করা উচিত। এটা আমাদের স্বস্তি দেয়। এর স্বাস্থ্যগত অনেক উপকারিতাও আছে। আলিঙ্গন মানসিক চাপ কমায়, অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমায় ,হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে, সুখী হতে সাহায্য করে, ভয় কমায়, ব্যথা দূর করে, যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে শিশুদের ঘনিষ্ঠভাবে বুকে জড়িয়ে ধরার ক্ষেত্রেও নারীরা অক্সিটোসিন হরমোনের প্রভাব উপলব্ধি করতে পারেন
আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আলিঙ্গন হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার দারুণ একটি উপায়। গবেষণা অনুসারে বলা যেতে পারে, একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কখনো কখনো কারও মধ্যে একাকিত্ববোধ দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় তাঁরা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রাখেন, এমনকি মৃত্যুর কথা পর্যন্ত চিন্তা করেন। কারও সংস্পর্শ তাঁদের এ ধরনের চিন্তা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। আলিঙ্গন হচ্ছে স্পর্শের আরামদায়ক ও যোগাযোগমূলক একটি ধরন।
একটি আলিঙ্গন হাজারটা উপহারের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। তাই দেরি না করে প্রিয়জনকে বেশি বেশি আলিঙ্গন করুন। আলিঙ্গন স্নেহ এবং ভালোবাসার প্রকাশের একটি সুন্দরতম মাধ্যম। আলিঙ্গনের মাধ্যমে বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়ে থাকে।