নিজস্ব প্রতিবেদক
পটুয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে আফরোজা আক্তার খাদিজা (২৩) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালীর কাঠপট্রি এলাকার তালতলী রোডে এমন ঘটনা ঘটে। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ইমতিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আফরোজার বাবার নাম হানিফ মুন্সি এবং মায়ের নাম জাহানারা বেগম। তার বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আফরোজা আক্তারের সঙ্গে অনেক বছর ধরে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই ছেলে আফরোজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং যোগাযোগ করলেও ঝগড়াঝাটি করতেন। এতে আফরোজা মানসিকভাবে ভেঙে পরেন। স্থানীয় একটি হাসাপাতালে চাকরি করতেন আফরোজা। কিন্তু মানসিকভাবে ভেঙে পরায় সেই চাকরিটি ছেড়ে দেন তিনি। পরে বুধবার দুপুরে মোবাইল ফোনে ঝগড়াঝাটি করতে শোনেন স্থানীয়রা। বিকেলে নিজের ঘরে ফেসবুকে স্টাটাসে তার প্রেমিকের কথা উল্লেখ করে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন আফরোজা। তখন ঘরে তার বাবা, মা এবং ভাই ছিলেন না। পরে তার ছোট ভাই আফরোজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আফরোজা ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসছিলাম, শুনছিলাম পুরুষ মানুষ ভালোবাসা পাইলে কিছু চায় না, তুমি আমাকে কীভাবে ছোট করলা? কীভাবে? আমি তোমার জন্য কি না করছি, কি না করছি তোমাকে ভালোবেসে, আজ আমাকে খানকি বানাইলা। আমি কোনো দিন কল্পনা করি নাই, এই প্রতিদান তুমি দিবা। আমি তো সরে গেছিলাম, কেন আসছো আবার? আমার সখের পুরুষ আমাকে দুনিয়া ছাড়তে বাধ্য করছে, দোষ তার না দোষ আমার। আমি তাকে ভালোবাসছি, আমার দোষ আমি তাকে প্রধান্য দিছি। ভালো থাকো আমার ভালোবাসা। তোমার ভালো থাকার জন্য এই আয়োজন। আমাকে মাফ করবা মা। আমি তোমার ভালো মেয়ে হইতে পারি নাই। আমার কাফন এর টাকা আমার ব্যাগে মা।’
ওসি মো. ইমতিয়াজ ঢাকা মেইলকে জানান, আত্মহত্যা খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।