বিনোদন বাজার রিপোর্ট
টালিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বলিউড, দক্ষিণী সিনেমাতেও নিয়মিত কাজ করছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সদ্য মুক্তি পাওয়া তেলেগু সিনেমা ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’তে খলচরিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকায় এসেছেন শাশ্বত চ্যাটার্জি। প্রথমবারের মত ঢাকায় এসেছেন তিনি । নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীর আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘গুলমোহর’ এ অভিষেক হবে তার। ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির জন্য সিরিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাশ্বত তার প্রথম ঢাকা সফর প্রসঙ্গে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে তার বহু সংখ্যক ভক্ত অনুরাগী রয়েছে, তা জানতেনই না এই অভিনেতা।
ঢাকার বিমানবন্দরে পদার্পণের পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের আপ্যায়নে তিনি অভিভূত জানিয়ে বলেন, “বিমানবন্দরে পদার্পণের পর থেকে কী যে আপ্যায়নটা পাচ্ছি! এয়ারপোর্টে নেমে ইমিগ্রেশনে যিনি চেক করেছেন, তিনি আমাকে দেখে একটা হাসি দিলেন। এরপর আর্মড ফোর্সের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) সদস্যদের আবদার ছিল, কফি খেতেই হবে; কফি খেয়ে ছবি না তুলে বের হওয়া যাবে না! এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে গেলাম, যিনি গেট খুলছেন, তার থেকে অদ্ভুত ভালোবাসা পাচ্ছি। এতটা ভালোবাসা প্রত্যাশা করিনি। যতটা প্রত্যাশা করেছি, তার চেয়ে দশ গুণ বেশি ভালোবাসা পাচ্ছি।”
বাংলাদেশে তার বহু সংখ্যক ভক্ত অনুরাগী রয়েছে, তা জানতেনই না এই অভিনেতা। বলেন, “আমি টের পাইনি। আমি যত দূর জানি, টেলিভিশন ছাড়া এখানকার দর্শকেরা ওখানকার সিনেমা খুব একটা দেখেন না। ওটিটির দৌলতে এখন হয়তো দেখছেন, তবে এতটা দেখেন, সেটা জানতাম না।”
বাংলাদেশে আসার আগে তাকে এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তারিন ও জয়া আহসান। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তারিন, জয়া আহসানরা কিছুটা ধারণা দিয়েছিল; ওরা বলেছিল, ‘ওখানে একটু সাবধানে নেমো। মাস্ক ও টুপি পরে থেকো।’ কিন্তু এতটা ভালোবাসা প্রত্যাশা করিনি।”
উল্লেখ্য, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের “এটা আমাদের গল্প” নামে একটা বাংলা সিনেমা ইতোমধ্যে চলছে। তার অভিনীত দক্ষিণী সিনেমা “কল্কি”ও কাঁপাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে সৈয়দ আহমেদ শাওকীর “গুলমোহর” এর শ্যুটিং শুরু করলেন তিনি।
এর আগে হিন্দি ‘সিরিজ খাকি ২’-এর কাজ করেছেন অভিনেতা শাশ্বত। অনুরাগ বসুর ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।