Friday, December 20, 2024
spot_img

আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস

বিনোদন বাজার রিপোর্ট

আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস । বাঘের প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দশে প্রতি বছর সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। 

দিবসটি পালনের সূচনা হয় ২০১০ সালে। ওই বছর বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ওই সময় বাঘের আবাসস্থল খ্যাত বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ একটি ঘোষণাপত্র জারি করে। ঘোষণাপত্রে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিটি দেশ বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেয়। তার মধ্যে নেপাল তাদের টার্গেট পূরণ করেছে। ভারত এবং ভুটানও বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সে লক্ষ্য থেকে দূরে আছে। অথচ রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের জাতীয় পশু। এটি বাঘের একটি বিশেষ প্রজাতি। এশিয়ার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বৃহত্তম আবাসভূমি হচ্ছে সুন্দরবন। কিন্তু অনিরাপদ আবাসস্থল, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, খাবারের অভাব, বাঘভীতিসহ বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। 

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে দেশে প্রথম বাঘশুমারি হয়। ওই সময় সুন্দরবনে ৩৫০টি বাঘ ছিল। এরপর ১৯৮২ সালের জরিপে ৪২৫টি, ১৯৯২ সালে ৩৫৯টি, ১৯৯৩ সালে ৩৬২টি এবং ২০০৪ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। তবে ২০১৫ সালে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টি। চার বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুন মাসে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। 

এ বিষয়ে বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ খবরের কাগজকে জানান, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে এ জরিপের ফলাফল এখনো প্রকাশ করা যায়নি। তিনি আরও জানান, প্রতিবারের মতো এ বছরও বাঘ দিবস উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বন বিভাগ। প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ‘বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুন্দরবনের সমৃদ্ধি’। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতি ও কারফিউ থাকার কারণে ২৯ জুলাই কোনো অনুষ্ঠান পালন করা হবে না। 

এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাঘের জন্য কোনো উপযুক্ত জায়গা থাকবে না। সুন্দরবনে শিকারিদের অবাধ বিচরণ ও আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। এ অবস্থায় হারিয়ে যেতে পারে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

- Advertisment -spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়