বিনোদন বাজার রিপোর্ট
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্র খালের ওপর গড়ে তোলা পশু খামার সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি।
সম্প্রতি কোটি টাকার ‘অভিজাত’ গরু এবং ‘১৫ লাখ টাকার’ খাসি নিয়ে আলোচিত এ খামারের অবৈধ অংশ উচ্ছেদে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালায় ডিএনসি।
ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনা করছেন ডিএনসিসির মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও বেশ কিছু অস্থায়ী স্থাপনা এখানে গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও উচ্ছেদ করছে ডিএনসিসি। মূলত খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল সাদিক অ্যাগ্রোর খামার। দখলের কারণে মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল সাদিক অ্যাগ্রোর অংশে একটি নালাতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সড়কের জায়গাও দখল করেছে তারা। মূলত সেই কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।
এ সময় মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “খালের জায়গার উপরে যারাই স্থাপনা করবে সেসব ভেঙে দেওয়া হবে। সাদিক অ্যাগ্রোর স্থাপনার কিছু অংশ খালের উপরে পড়েছে। সেসব ভেঙে ফেলা হচ্ছে।”
উচ্ছেদের সময় খামারের মালিক ইমরান হোসেনকে সেখানে দেখা যায়নি। তাছাড়া উচ্ছেদের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো কর্তাব্যক্তি কথাও বলতে চাননি।
তবে খামারটির এক কর্মচারী জানান, সাদিক অ্যাগ্রোর এটা নিজস্ব সম্পত্তি না। মালিক এটা ভাড়া নিয়েছেন।
এদিকে অভিযানের খবর পাওয়ার পর বুধবার রাতেই বেশকিছু গরু এবং খাল ও সড়কের জায়গার অস্থায়ী কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ।
মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সড়কের পাশের সাদিক অ্যাগ্রো করতে গিয়ে ডিএনসিসির খালের জায়গা দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
ওই জমি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ।
সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি।
সাদিক অ্যাগ্রোর পেছনে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখল করা হয়েছে জানিয়ে মোতাকাব্বির বলেন, আশপাশে যারা খাল দখল করছে তাদেরও উচ্ছেদ করা হবে।
এক ব্যক্তি চার শতাংশ জায়গার মালিকানা দাবি করেছেন জানিয়ে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এই ব্যক্তি পর্যাপ্ত কাগজপত্র দাখিল করতে পারেননি। এখানে ২০ শতাংশর ওপরে জায়গা আছে। বাকি জায়গার মালিক আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। কেউ আমাদের জানাননি। কাজেই যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল খনন কাজ শুরু হবে জানিয়ে মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খাল দেখতে পাবেন।
এ বছর কোরবানি ঈদের সময় সাদিক এগ্রো থেকে ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল কেনার ফেইসবুক পোস্ট ঘিরে আলোচনা শুরু হলে জানা যায় ওই তরুণ এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের ছেলে।
পরে মতিউরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।