বিনোদন বাজার রিপোর্ট
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান (৩৩) নিহত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে অটোরিকশায় থাকা ছাত্তার মিয়া (৩০) নামের আরেকজন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা আরও তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের বাড়ি ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে।
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় হাসান একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন। আজ সকালে একটি অটোরিকশায় করে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সকাল ছয়টার দিকে ছাতকের সুরমা সেতু এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ওই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই হাসান ও ছাত্তার নিহত হন। আহত হন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর, রূপণ ও লায়েছ। শিল্পী পাগল হাসানের স্ত্রী ও দুই ছেলে আছে। ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাগল হাসানের বন্ধু ফ্রান্স প্রবাসী তারেক মিয়া জনি বলেন, রাতেও কথা বলেছি ওর সঙ্গে। আজ হঠাৎ তার মৃত্যু সংবাদ শুনলাম। এ খবর শুনে ওর ফোনে ফোন দিলে কেউ একজন বললেন ও আর নেই। সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ নামক স্থানের সুরমা ব্রিজের কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ওর।
এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকজন তার মরদেহের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সুরকার গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সংগীতাঙ্গনে পরিচিতি ছিল তার। শ্রোতাদের মধ্যেও ছিল জনপ্রিয়তা। তার লেখা গান আসিফ আকবরসহ দেশের অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী গেয়েছেন। তার একাধিক শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে।
শিল্পী পাগল হাসানের ‘আসমানে যাইও নারে বন্ধু…’, ‘জীবনখাতায় প্রেম কলঙ্ক…’, ‘মন আমার মরা নদী…’, ‘মাটির বালাখান…’ এমন বেশ কিছু জনপ্রিয় গান আছে। তিনি শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে সুনামগঞ্জের সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।