বিনোদন বাজার রিপোর্ট
রাজধানীজুড়ে অলিগলিতে চোখে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ‘রেস্টুরেন্ট ভবন’-যে ভবনগুলোর বেশিরভাগই বহুতল ভবন।অথচ ভবনে নেই জরুরি নির্গমন পথ, এমনকি প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ছিটেফোঁটাও নেই ভবনজুড়ে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক, কর্মীসহ অন্তত ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব রেস্টুরেন্ট-ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখতেই অভিযান চালানো হয়।
ধানমন্ডি এলাকার ১৯টি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, সিঁড়ি আটকে রান্নাঘর বসানো ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এসব খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাতে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে কয়েকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপকসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রায় ১০টি খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, খাবারের দোকান থাকা ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কি না, সিঁড়িতে কোনো কিছু রাখা হয়েছে কি না, সেটা দেখছি। দু-একটি ছাড়া সবকটির পরিবেশ ছিল সুন্দর। তাদের ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা সন্তুষ্ট।
এদিকে উত্তরা এলাকার অন্তত ২০টি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
এ ঘটনার পর রেস্টেুরেন্টে ও ভবনে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি আবার সামনে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।