Tuesday, December 10, 2024
spot_img

চুমু দিবস: চুমু উপকারী, তবে ক্ষয় হতে পারে দাঁতের

বিনোদন বাজার ডেস্ক

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি চুমু দিবস হিসেবে পালিত হয়।

চুমু রোমান্টিকতার অন্যতম বিষয়। অন্যকে চুমু খাওয়া বিশেষ করে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই বেশি দেখা যায় কিংবা স্বামী-স্ত্রীর বেলাতেই। ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রের চুমুর স্থান অনেক উপরে। সেটা হোক প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব কিংবা ভালোবাসার যে কোন বন্ধনে চুমুর গুরুত্ব ব্যাপক।

ভালোবাসার প্রকাশ ছাড়াও চুমুর কিছু উপকারিতা রয়েছে। আছে অপকারিতাও।

চুমুর উপকারিতা ও অপকারিতা

চুমু যদি ২ সেকেন্ডের বেশী সময় ধরে হয় তাহলে এক ধাক্কায় ৩-৪ ক্যালোরি কমতে পারে। প্রত্যেক মানুষের মুখে অজস্র-সহস্র ব্যাকটেরিয়া থাকে। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে চুম্বনের সময়ে অজান্তেই প্রায় ১ বিলিয়ন ব্যাকটেরিয়ার আদান-প্রদান হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন কাউকে অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানাতে, শুভেচ্ছা জানাতে করমর্দন করার চেয়ে ভাল চুমু খাওয়া। কারণ তা অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর।

চুমু দিলে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধন সুদৃঢ় হয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, চুমু দিলে অক্সিটোসিন হরমোন উৎপাদন হয়। এটি একে অন্যের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কে চুমু আনন্দের বাড়তি মাত্রা যোগ করে। না বলা অনেক কথাও এর মধ্য দিয়ে বলা হয়ে যায়।

চুমুর মাধ্যমে নারী-পুরুষের একে অপরের থুথু বিনিময় হয়। এটি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষের শরীরের ইমমুনি সিস্টেম স্বাভাবিক রাখে। যদি কোনো কারণে কেউ মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত থাকে তাহলে তার কোনো মনোবিদের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। সে তার স্ত্রীকে চুম্বন করলেই তার মানসিক হতাশা দূর হয়ে যাবে।

চুমু খাওয়ার সময় কখনো আপনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর বেড়ে যেতে পারে হৃৎস্পন্দন। এতে হৃৎপিণ্ডের ব্যায়াম হবে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে আরো কয়েকটি উপকার হয়।যেমন এটি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়মিত হতে সাহায্য করে। রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ কারণে চুমুর মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক হৃৎপিণ্ড বজায় রাখা সম্ভব।যদি কখনও কারও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা করে তাহলে স্ত্রী বা স্বামীকে খুব কাছে টেনে নিয়ে লিপ কিস করুন। তাহলে দেখবেন সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ব্যথা দূর হয়ে যাবে। চুমু মানুষের শরীরের স্ট্রেস হরমোনর কার্যক্ষমতা কমিয়ে আনে। এটি মানুষকে বিষাদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে সাহায্য করে। চুমু মানুষের চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে।

যদিও এর কারণে শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় হয় তারপরও এটি মানুষের শরীরের জন্যে খুব উপকারী।

এছাড়া দাঁতের দ্রুত ক্ষয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ চুম্বন। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে অতিরিক্ত চুম্বনের ফলে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যায় দাঁত।

- Advertisment -spot_img

সবচেয়ে জনপ্রিয়