বিনোদন বাজার রিপোর্ট
সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এর ফলে মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। এ অবস্থায় এখনো মর্গের হিমঘরে পড়ে আছে তার মরদেহ।
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় নিশ্চিতে তার বাবা দাবি করা সবুজ শেখ ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন।

রোববার (৩ মার্চ) সবুজ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ের মরদেহ নিশ্চিতের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শিগগির ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট জানা যাবে।
ডিএমপির রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পরিচয় নিশ্চিতে মেয়েটির বাবা দাবি করা ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পেতে কিছুটা সময় লাগে।
ওই নারীর মরদেহ নিতে কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে বাবা ও মা দাবি করা সবুজ শেখ ও বিউটি বেগম ছাড়া অন্য কেউ আসেননি। এরই মধ্যে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষায় দেখা যায় এনআইডিতে তার নাম বৃষ্টি খাতুন হিসেবে নিবন্ধিত। বাবার নাম সবুজ শেখ, মায়ের নাম বিউটি বেগম। বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।
এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে লাশের ডিএনএ পরীক্ষা হচ্ছে। ল্যাব সূত্র বলছে, আলামতের ওপর নির্ভর করে কত সময় লাগবে। তবে পোড়া লাশের ডিএনএ সময়সাপেক্ষ। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মাত্র ডিএনএ পরীক্ষার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। উনাদের (লাশের) রিলেটিভসের ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কিছু জটিলতা আছে, এজন্য অনেক সময় লাগতে পারে।’
কেমন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। আলামতের ওপর নির্ভর করে। ব্লাড থেকে আলামত নিলে সময় কম লাগে। তবে দাঁত ও হাড় থেকে সময় বেশি লাগে। আমাদের কাজের প্রচুর চাপ, সক্ষমতারও বিষয়ও আছে। সব মিলে ১ মাসও লাগতে পারে আবার ৬ মাসও লাগতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়–য়া বলেন, ধর্মসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেওয়ায় ওই নারীর লাশের ডিএনএ পরীক্ষার পর আদালতের মাধ্যমে সঠিক দাবিদারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।